চার বছর পর শুরু হলো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল, মুন্সিগঞ্জে উদ্বোধন

1756573634-b01183b137d4bb727c9bc4a201767c23.jpg
আনোয়ার হোসেন
চার বছর পর সারা দেশে ‘তারুণ্য উৎসব’ ব্যানারে শুরু হয়েছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৮ কোটি টাকার বাজেটে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে দেশের ৬৪ জেলা দল।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মুন্সিগঞ্জ বনাম মাদারীপুর জেলা দলের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী খেলায় মাদারীপুরকে ২-১ গোলে হারায় স্বাগতিক মুন্সিগঞ্জ দল।

জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পৃষ্ঠপোষকতায় এ টুর্নামেন্টে ৬৪ জেলা দলকে ৮টি পটে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি পটের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই মাসের শহীদদের নামে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা শেষে দ্বিতীয় পর্বে উঠবে ৩২ দল, তারপর তৃতীয় পর্বে টিকবে ১৬ দল। এরপর শুরু হবে নকআউট ধাপ, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে।

টুর্নামেন্ট উদ্বোধন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, “ক্রীড়া খাতে বাজেট সীমিত হওয়ায় অবকাঠামো উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পায়নি। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ডিজাইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যমান স্টেডিয়ামগুলোকে একটি বড় মেগা প্রজেক্টের আওতায় আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “ফুটবলকে শুধুমাত্র খেলা হিসেবে নয়, শারীরিক চর্চা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক সম্প্রীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে জেলা লিগ আয়োজনের মাধ্যমে মাঠগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা ও খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত হবে। আমাদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করা।”

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া ফুটবলের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছেন। চার বছর বন্ধ থাকা জাতীয় স্টেডিয়াম চালু করেছেন। খেলাধুলা, বিশেষত ফুটবলকে স্কুল পর্যায় থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমাতুল জান্নাত। উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (হ্যাপি), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম, মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা নাহার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top