জম্মু-কাশ্মীরে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু

1756550968-f9a07b0db391b6cef9c05adb0549ace9.jpg
আনোয়ার হোসেন

রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে রামবান এবং রিয়াসি জেলায় ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার থেকে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধস। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে গেছে সেতু এবং তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ বছর বয়সী শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার ভূমিধসের ফলে জম্মুর ঐতিহাসিক বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের যাত্রাপথে ৪১ জন মারা যান।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। বুধবার জম্মু এবং উদমপুরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জম্মুতে ২৯৬ মিলিমিটার (১১.৬ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে, যা ১৯৭৩ সালের রেকর্ডের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। উদমপুরে ৬২৯.৪ মিলিমিটার (২৪.৮ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে, যা ২০১৯ সালের রেকর্ডের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি।

বন্যা এবং ভূমিধস সাধারণত জুন-সেপ্টেম্বর মাসের বর্ষা মৌসুমে ঘটে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অযত্নে উন্নয়ন পরিকল্পনার কারণে এসব দুর্যোগ বার বার হচ্ছে এবং তীব্রতাও বেড়ে গেছে। আগস্ট ১৪ তারিখে ভারতের কাশ্মীরের চিসোটি গ্রামে প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট স্রোত কমপক্ষে ৬৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এবং আরো ৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। আগস্ট ৫ তারিখে ভারতীয় উত্তারখণ্ডের ধারালি শহরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেখানে বৃষ্টির কারণে শহরটি মাটির তলদেশে চাপা পড়ে। ওই ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে যেতে পারে, তবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি এখনো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top