ডিমের ডজন এখন ১৫০ টাকা, বেশিরভাগ সবজির দামও চড়া

prothomalo-bangla_2025-08-20_hyd51xz6_prothomaloimport.avif
আনোয়ার হোসেন

রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে এখন এক হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তেই ডিমের দাম বেশি। তাই তাঁদের বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিভিন্ন সবজির দামও এখন বেশ চড়া। কাঁচাপেঁপে বাদে আর কোনো সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জগন্নাথপুর বাজার (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রবেশপথে) ও জোয়ার সাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেল। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে এখন সবজির উৎপাদন আর সরবরাহ কম। তাই দামও বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা এবং শসা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত ফুলকপি ও মুলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। দাম তুলনামূলক বেশি। একেকটি ফুলকপি ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি মুলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল।

বাজারে এখন কাঁচামরিচের দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩২০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৭০ টাকা, লাই ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন মানভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচাপেঁপে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা এবং ঢেঁড়স ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া এক আঁটি পুইশাক ৪০ টাকা, ডাটা শাক ৩০ টাকা এবং কচু পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রতি কেজি গাজর ১৪০ টাকা, আলু মানভেদে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবুর দাম আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা।

হঠাৎ সবজির বাজার চড়া হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা হৃদয় আহমেদ বলেন, এখনতো বৃষ্টি হচ্ছে। সবজির উৎপাদন কম। সেজন্য দাম একটু বেশি। শীত আসলে দাম কমে যাবে। এ প্রসঙ্গে হৃদয় আরও বলেন, ‘এখানে আসলে কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। সরকার চাইলে খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।’

কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকুরীজীবী মুকসিদুল হক। বাজারদরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পটল ও করলা কিনলাম। দাম তুলনামূলক বেশিই মনে হয়েছে। বিক্রেতারা বাড়তি দামের জন্য বৃষ্টি–বন্যাসহ নানা কারণ বলছেন।’

খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম বেশি কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আড়তদারেরা দাম বেশি রাখলে আমরা কী করবো? আমাদের বেশি দামে কিনে সেটা বেশি দামেই বেঁচতে হয়। কিছু করার নেই।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top