চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, (ডানে) গরু বিক্রেতা রইস উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে অভিনেত্রী।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি হাটে গরু বিক্রি করে জাল টাকা পেয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন বৃদ্ধ রইস উদ্দিন। তার কান্নায় কেঁদেছিল পুরো দেশ। সেই ঘটনা নজরে এসেছিল চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। নিজ খরচে তিনি রইস উদ্দিনকে সৌদি আরব পাঠান পবিত্র ওমরাহ পালন করতে।
সেই রইস উদ্দিন ওমরাহ করে ফিরে এসেছেন। আর তার আমন্ত্রণে অপু বিশ্বাস গিয়েছেন তার গ্রামের বাড়িতে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) অপুর ফেসবুক আইডি থেকে একটি লাইভ করা হয় যেখানে অপু বিশ্বাসকে রইস উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন ছিলেন।
রইস উদ্দিনকেও দেখা যায় অপু বিশ্বাসকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে। আশেপাশের মানুষজনও অপু বিশ্বাসকে দেখতে ভিড় জমায়।
লাইভের ক্যাপশনে অপু লিখেছেন, ‘রইস উদ্দিন চাচার সাথে সাক্ষাৎ।’ অপুর লাইভে মন্তব্য করতে দেখা গেছে অনেক ভক্ত অনুরাগীকে।
কেউ লিখেছেন, ‘ভালোবাসার একটা মানুষ।’ কারো মন্তব্য, ‘অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। ভালো থাকুন।’ অপুকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেউ লিখেছেন, ‘আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।’ অপু বিশ্বাসের জন্য দোয়া চেয়ে একজন লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ, আল্লাহ আমাদের প্রিয় অপু বিশ্বাসের জীবনের সব অশান্তি, বিপদ এই উছিলায় দূর করুক। আমিন।’
কোরবানি ঈদে রইস উদ্দিন আলোচনায় উঠে আসেন। নাটোরের সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের এই বৃদ্ধ উত্তরার দিয়াবাড়ি কোরবানির হাটে নিজের পোষা গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন। কিন্তু এক প্রতারক ক্রেতার কাছ থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা পেলেও, এর মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার টাকাই ছিল জাল নোট। প্রতারণার এই মর্মন্তুদ ঘটনার পর হতাশায় কেঁদেছিলেন তিনি। যা ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ ঘটনায় তার পাশে প্রথম দাঁড়িয়েছিল আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামের একটি হিউম্যানিটারিয়ান অর্গানাইজেশন। তারা অপুর অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, প্রতারিত হওয়ার পরপরই রইস উদ্দিনকে প্রথম ধাপে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা। এরপর আরও বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ কিছু সহায়তা পান রইস উদ্দিন। এই মানবিক উদ্যোগে সাড়া দিয়ে তাদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগাযোগ করেন অপু বিশ্বাস। ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং অভিনেত্রী অপুর আর্থিক সহযোগিতায় গত ২৫ জুলাই ওমরাহ পালনের উদ্দেশে রওয়ানা হন রইস উদ্দিন।