ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ইস্যুতে উত্তপ্ত ইতালি, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

1758565195-62bf1edb36141f114521ec4bb4175579.webp
আনোয়ার হোসেন

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার অবরুদ্ধ মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইতালিতে বিক্ষোভ করছেন হাজারো মানুষ। ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন শিক্ষক, ডককর্মী এবং শিক্ষার্থীরা।

এই ধর্মঘটের ফলে গোটা ইতালির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

সোমবার মিলান এবং রোম শহরে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ হয়েছে। মিলানের সেন্ট্রাল স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ৬০ জন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা সেখানে মার্কিন পতাকাও পুড়িয়েছে।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতা লজ্জাজনক। তিনি আরও বলেন, এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সাথে সংহতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি গাজার মানুষের জীবনের কোনো পরিবর্তন আনবে না।

এদিকে, মিলানের মেয়র জিউসেপ্পে সালা এই ভাংচুরের ঘটনাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিষয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির অবস্থান নিয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। যদিও তিনি ইসরায়েলের সমালোচনা করেছেন, তবে তিনি ফ্রান্সের মতো ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেননি।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন ও নরওয়ের মতো কিছু ইউরোপীয় দেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে একটি আবশ্যকতা বলে অভিহিত করেছেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো একে ‘দেশের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ও জার্মানি এখনও এই পদক্ষেপ নেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top