বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের ফ্যাসিলিটিজ দেখে বাকিদের লজ্জা লাগা উচিত: মুশফিক

1755687209-d0096ec6c83575373e3a21d129ff8fef.webp
আনোয়ার হোসেন

ইয়ুথ ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটের ট্রায়াল ও বাছাইয়ের ক্যাম্পে এসে বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। তার মতে, দেশের ক্রিকেটের নীতি-নির্ধারকদের এমন উন্নত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা উচিত।

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ইয়ুথ ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটের ট্রায়াল ও বাছাই। প্রথম দিন এতে উপস্থিত হন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। আর পর দিন এলেন মুশফিক।

বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটারদের ব্যাট-বলের লড়াই দেখতে যাওয়ার পথে বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের সুবিধাদি কিছুটা দেখেন মুশফিক। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এর ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

মুশফিক বলেন, এটা (বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্ক) দেখে আমাদের সবারই লজ্জা লাগা উচিত। কারণ এরকম একটা গ্রুপ বাংলাদেশে… ক্রিকেট তো দূরের কথা, (বাংলাদেশের) কোনো জাতীয় দলেরই এরকম সুবিধা নেই। যেটা কিনা খুবই মৌলিক সুবিধা হওয়া উচিত। কারণ আপনি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ক্রিকেটার বের করে আনা কঠিন।

বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কে এখন ৫টি সেন্টার উইকেট, ১২টি টার্ফ পিচ রয়েছে। অত্যাধুনিক ইনডোর ফ্যাসিলিটির ভেতরে রয়েছে ৭ লেন ইনডোর অ্যাস্ট্রো টার্ফ, উন্নত বোলিং মেশিনের পাশাপাশি ভিডিও অ্যানালাইসিস করার সুবিধা। এছাড়া উন্নত জিম, সুইমিং পুল ও আইস বাথের ব্যবস্থাও আছে এতে।

মুশফিকের আশা বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্ক দেখে অনুপ্রাণিত হবেন অন্যরা এবং গড়ে তুলবেন একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা। যাতে করে উপকৃত হতে পারেন দেশের ক্রিকেটাররা।

মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ক্রিকেটার বলেন, এই সুযোগ-সুবিধা দেখে আমাদের নীতি-নির্ধারকরা যদি উজ্জীবিত না হয়, তাহলে আফসোস ছাড়া আর কিছু বলার নেই। তবে এটা অবশ্যই প্রেরণাদায়ী একটা জিনিস। একটু দেরি হলেও, উনাদের (বসুন্ধরা) মতো এত বড় একটা গ্রুপ এই কাজটা করেছে। আশা করি, এখান থেকে অনেক ক্রিকেটার উপকৃত হবে, অনেক মানুষ উপকৃত হবে এবং এটা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।

খেলাধুলার উন্নতির ক্ষেত্রে বসুন্ধরার সার্বিক চেষ্টার প্রশংসা করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তিনি বলেন, প্রতিটি ধাপে তারা (বসুন্ধরা) নিজেদের উন্নতি করছে। শেখ জামালে এক বছর খেলেছি, চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। তো ইশতিয়াক (সাদেক) ভাইকে খুব কাছ থেকে চিনি। অন্যান্য যারা আছে, তাদেরও চিনি। যেভাবে দিনে দিনে সুবিধাদি বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু হবে। আন্তর্জাতিক ভেন্যু হলে আমাদের ক্রিকেটাররা এখানে এসে সর্বোচ্চ সুবিধায় অনুশীলন করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top