রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৬ জন পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গুদামে থাকা রাসায়নিকের কারণে যেকোনো সময় আবার আগুন জ্বলে উঠতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আগুন লাগার পর থেকে তাদের অনেক প্রিয়জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রূপনগরের রাসায়নিকের ওই গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বিকট শব্দে ১০ থেকে ১৫টি বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের পোশাক কারখানায়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও পাশের বিইউবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে মোট ১২টি ইউনিট, সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও বিএনসিসির সদস্যরা যোগ দেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাসায়নিকের গুদামে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে গুদাম মালিক পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন,
“মিরপুরের এই রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এটি পুরোপুরি নিভেছে—এমনটা বলা যাবে না। যেকোনো সময় আবার জ্বলে উঠতে পারে।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রাসায়নিক পরীক্ষা করবে, যাতে আগুনের উৎস ও বিস্ফোরণের প্রকৃতি নির্ণয় করা যায়।