মেসিকে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জই নাকি মরিনিওর কোচিং দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করেছে। সম্প্রতি ক্রীড়াবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টিনেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ।
লিওনেল মেসিকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মনে করা হয়। কারও কারও চোখে মেসিই সর্বকালের সেরা। বিশ্বসেরা কোচদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে জোসে মরিনিও ওপরের দিকে থাকবেন।
‘স্পেশাল ওয়ান’খ্যাত মরিনিও প্রতিপক্ষ দলের কোচ হিসেবে বেশ কয়েকবার মেসির মুখোমুখি হয়েছেন। শুরুটা হয়েছিল ২০০৩ সালের নভেম্বরে এফসি পোর্তোর কোচ থাকতে। এরপর চেলসি, ইন্টার মিলানের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে মেসিকে বার্সেলোনার খেলোয়াড় হিসেবে পেয়েছেন। আর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকতে তো এল ক্লাসিকোয় মেসিকে আটকে রাখার ছক অহরহ কষতে হয়েছে।
মেসিকে ঠেকানোর এই চ্যালেঞ্জই নাকি মরিনিওর কোচিং দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করেছে। সম্প্রতি ক্রীড়াবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টিনেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ।
বর্তমানে তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচের দায়িত্বে থাকা মরিনিও বলেছেন, ‘মেসি আমাকে আরও ভালো কোচ হতে সাহায্য করেছে। কারণ, তার বিপক্ষে আমার দল যতবার খেলেছে, ততবারই সে আমাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে।’

তবে সর্বকালের সেরা নিয়ে মরিনিওর মত জানতে চাইলে রেগে যান পর্তুগিজ কোচ। একটু ঝাঁজের সঙ্গেই তিনি বলেন , ‘এই বিতর্ক আমার কাছে অন্যায্য মনে হয়। কেউ যখন এ নিয়ে কথা বলে, তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়। নতুন প্রজন্ম এখনকার ফুটবলারদের সম্পর্কে জানে। কিন্তু পেলে, ইউসেবিও বা বেকেনবাওয়ারকে গভীরভাবে জানে না। অথচ তারা তাঁদের সঙ্গে এখনকার তুলনা করে।’
কেন ভিন্ন যুগের ফুটবলারদের মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়, সেই যুক্তিও তুলে ধরেছেন মরিনিও, ‘তাদের সময়ের ফুটবল আর আজকের ফুটবল এক নয়। ৪০ বছর আগে বৃষ্টি হলে বলের ওজন ১০ কেজি হয়ে যেত। আর এখন বল শাঁ শাঁ করে ওড়ে।’

ইউরোপীয় ফুটবলের পাট চুকিয়ে মেসি পাড়ি জমিয়েছেন মার্কিন মুলুকে। বর্তমানে খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। তাই মরিনিও ও মেসি ফুটবল মাঠে হয়তো আর কখনো মুখোমুখি হবেন না।
মরিনিও এখন ফেনেরবাচেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে তোলার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। আগামীকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ বাছাইপর্বে প্লে-অফের প্রথম লেগে খেলতে নামবে ফেনেরবাচে। প্রতিপক্ষ মরিনিওর স্বদেশি ক্লাব বেনফিকা।