রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ঢাকায় স্বাগত জানাচ্ছেন শেখ মুজিব; মার্চ, ১৯৭২
ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের পর মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ঢাকায় তখনকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেন ফুলের তোড়া নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে। পরদিন ভারতের জাতীয় স্তরের দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’তে দু’জনের হাসিমুখে করমর্দনের ছবি ছাপা হয়েছিল প্রথম পাতাতেই।
একদা যে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা ছিল ঐতিহাসিক, তারই নির্মম হত্যার পর যে এত তাড়াতাড়ি দিল্লি ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নিয়েছিল – তখন সেই ঘটনা বিস্মিত করেছিল অনেককেই।
১৯৯৮ সালে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সমর সেন, যিনি কূটনৈতিক মহলে ও বন্ধুদের মধ্যে ‘টিনু সেন’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, তিনি ‘ফ্রন্টলাইন’ সাময়িকীতে লেখা এক নিবন্ধে ব্যাখ্যা করেছিলেন কোন পটভূমিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সমর সেনের লেখা থেকেই উদ্ধৃত করা যাক, “আমার ব্যক্তিগত মত ছিল অপেক্ষা করা ও নজর রাখা। কিন্তু সেই সঙ্গেই আমি মনে করেছিলাম, বাংলাদেশের নতুন শাসকদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। যদিও ভারত সরকারের কারও কারও সেই ভাবনাটা পছন্দ হয়নি।”
তিনি আরও লিখেছেন, “শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে নিশ্চয় একটা বড় আঘাত ছিল – কিন্তু বিপর্যয় ছিল না।”