হামজাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা

1756748643-3c9b27493462aab473f0c733712eee42.webp
আনোয়ার হোসেন

নেপালে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর আগে জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্ট কমিটি থেকে বলা হচ্ছিল হামজাকে ম্যাচে পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ঢাকায় আসতে না পারলে সরাসরি নেপালে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ক্যাম্পে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় যোগ না দেওয়ায় বাফুফের কর্মকর্তাদের সে কি ভাব। তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছিল খেলোয়াড় না পাঠিয়ে কিংস অন্যায় করে ফেলেছে। অথচ প্রীতি ম্যাচের ক্যাম্পে কতদিনের মধ্যে খেলোয়াড় ছাড়তে হয় তার নিয়ম রয়েছে। না জেনে না বুঝে অযথা মিডিয়ার সামনে গলা ফাটিয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। নিয়ম জানেন বলেই বাফুফে সভাপতি এ ক্ষেত্রে টু-শব্দ করেননি। নিয়ম মেনেই তো কিংসের খেলোয়াড়রা সঠিক সময়ে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। এখন হামজার বেলায় কী হবে? কেউ কেউ আবার বলছেন, নেপালের ম্যাচের কথা তা হয়তো হামজাকে বলাই হয়নি। বলবে কীভাবে, যোগাযোগ করার সামর্থ্য তো থাকতে হবে। যাক ধরে নিলাম, হামজা জানতেন দুই প্রীতি ম্যাচের কথা। কিন্তু হামজা খেলবেন কি খেলবে না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেন? ম্যাচ তো একেবারে সামনে এ নিয়ে কর্মকর্তাদের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। যারা জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন তারা কি ইন্টারনেটের যুগেও জানেন না হামজা এখন চোটে আক্রান্ত? বার্মিংহামের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ইনজুরির শিকার হয়েছেন। খেলাটা ইংলিশ দ্বিতীয় বিভাগ লিগের। কিন্তু হামজা তো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা। চোট কতটা গুরুতর বা কেমন আছেন তার খোঁজ কি কেউ নিয়েছেন। টেলিফোন নাকি করলেই ধরেন। কেউ হামজাকে ফোন করেছিলেন। আচ্ছা হামজা যে প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসবে তাকে পাওয়ার জন্য লেস্টার সিটিকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়েছিল? শোনা যাচ্ছে হামজার সঙ্গে বাফুফের কোনো যোগাযোগই নেই। কয়েক দিন পর নেপালে ম্যাচ অথচ হামজা খেলবে কি না সেই জবাব বাফুফের কেউ দিতে পারছেন না। সবাই বলছেন, বিষয়টি সভাপতিই ভালো বলতে পারবেন। এ হচ্ছে ফুটবল কর্মকর্তাদের যোগ্যতা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top