৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

batil.webp
আনোয়ার হোসেন

ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক অভিযোগ তুলে ৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। দেশটির আইন ভঙ্গ, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণসহ বিভিন্ন কারণে এসব ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পররাষ্ট্র দপ্তর সময় শেষ হওয়ার পরেও অতিরিক্ত সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এবং দেশটির আইন লঙ্ঘনের জন্য ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরও জানিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিসাধারীরা হামলা, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, চুরিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।

কর্মকর্তা বলেছেন, প্রায় ৪ হাজার ভিসা আইন লঙ্ঘনের জন্য বাতিল করা হয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তর জাতীয়তার ভিত্তিতে ভিসা আলাদা করে বাছাই করেনি। তবে চীন থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

মার্চ মাসে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি প্রতিদিন ভিসা বাতিল করছেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি এই পাগলদের একজনকে পাই, আমি তাদের ভিসা বাতিল করি।’ তিনি বিশেষ করে সেই ছাত্রদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন এবং কর্মীদের ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগ করেছেন। তবে ভুক্তভোগীরা প্রায়ই এই অভিযোগ তারা অস্বীকার করে আসছে। দেশটির প্রশাসন সম্প্রতি দুটি মামলায় ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে।

প্রথমটি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদ খলিলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা। তিনি একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্থানী বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তিনি গত জুন মাসে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন,  প্রশাসন তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

দ্বিতীয় মামলাটি হয়েছিল টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের তুর্কি স্নাতক ছাত্রী রুমেসা ওজতুর্কের বিরুদ্ধে। তিনি একটি ক্যাম্পাস সংবাদপত্রে ইসরায়েলবিরোধী একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। গত মে মাসে আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্তি পান। তাকে ম্যাসাচুসেটসের একটি রাস্তা থেকে মুখোশধারী সাদা পোশাকের এজেন্টরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল।

এ ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে সেনেটর মার্কো রুবিও যুক্তি দেন, প্রশাসনের বিচারিক পর্যালোচনাবিহীনভাবে ভিসা প্রদানের বা বাতিল করার অধিকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক যারা নন, মার্কিন সংবিধানের আওতায় বাকস্বাধীনতার অধিকার নেই তাদের। সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top