🌿 ভোলায় শব্দদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইয়ুথ নেটওয়ার্কের সচেতনতামূলক কার্যক্রম

“অযথা হর্ন বাজাবেন না” — চালকদের প্রতি আহ্বান তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের

ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলায় শব্দদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্টের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের সদস্যরা শনিবার দুপুরে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহনের চালকদের অযথা হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং পথচারীদের মধ্যে শব্দদূষণবিরোধী বার্তা প্রচার করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক জনাব তোতা মিয়া। কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান গ্রীন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তরুণ সংগঠক মোঃ শাফায়াত হোসেন (সিয়াম)।

🔊 শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বাস্তবায়নের তাগিদ

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব তোতা মিয়া বলেন,

“শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর শতভাগ বাস্তবায়ন, যানবাহনে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করা, হর্ন বাজানোর শাস্তি বৃদ্ধি এবং চালকদের শব্দসচেতনতা যাচাই করে লাইসেন্স প্রদান — এসবই শব্দদূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “সবার সহযোগিতা ছাড়া শব্দদূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।”

🌱 “নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে” — সিয়াম

ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্টের সভাপতি ও এশিয়ান গ্রীন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তরুণ সংগঠক মোঃ শাফায়াত হোসেন (সিয়াম) বলেন,

“সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দদূষণের ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ দূষণের প্রধান উৎস বিভিন্ন যানবাহনের শব্দ ও হাইড্রোলিক হর্ন, যা শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।”

তিনি আরও বলেন,

“সরকার গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি শব্দদূষণের উৎসগুলো বন্ধ করতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার বা কোনো সংস্থার পক্ষে এককভাবে এ সমস্যার সমাধান কঠিন। তাই সবাই মিলে শব্দদূষণ প্রতিরোধে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে কাজ করতে হবে।”