অফিস সহকারী কামাল উদ্দিন (মিরাজ) দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রছাত্রীদের স্টাইপেন্ড খাত থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।
(১২ অক্টোবর ২০২৫) — ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অবস্থিত একটি ফাজিল মাদ্রাসায় অর্থনৈতিক অনিয়মের একটি ব্যাপক ঘটনা সামনে এসেছে। মাদ্রাসার অফিস সহকারী কামাল উদ্দিন (মিরাজ) দীর্ঘকাল ধরে সরকারি স্টাইপেন্ড অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের বৈধ স্টাইপেন্ড হিসেবে প্রদত্ত অর্থের সাথে মিলিয়ে না দেখিয়ে, প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থীর নামে অর্থ বরাদ্দ দেখিয়ে, প্রায় অর্ধ কোটি (৫০–৫৫ লাখ) টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
মাগ্রাজ মাদ্রাসায় কর্মরত অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ২০২১ সালের শেষ দিকে, যেখানে মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১২,০০০ টাকা। মাদ্রাসার প্রধান কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্টাইপেন্ডের জন্য অনলাইন ডাটা এন্ট্রি ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত করেন। তবে তদন্তে দেখা গেছে, তিনি নকল ছাত্র-ছাত্রীদের নাম ও তথ্য সিস্টেমে যুক্ত করেছিলেন এবং অর্থ উত্তোলন করতেন।
উপজেলা মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে নজরে এনে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাদ্রাসার প্রধান বলেন, “প্রধান হিসেবে আমি কিছুই জানতাম না — শুধু OTP ভিত্তিতে স্বীকৃতি দিতাম; কিন্তু আমি জানি না যে অফিস সহকারী এইভাবে কাজ করবে।”
স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এই অনিয়ম দেখে। অনেকেই বলছেন, গরিমাহীন দীক্ষাপীঠের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা যায়।
সোর্স : The Business Standard